আব্দুল বারেক ভূইয়াঃ
ক্ষুধার্ত বানরের তান্ডবে অতিষ্ট শরীয়তপুর পৌরসভার দাসার্ত্তা, বাঘিয়া, কুঁরাশী উত্তর পালং ও কোটাপাড়া গ্রামের বসবাসরত বাসিন্দারা।
পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় বন্যপ্রাণী বানরের ভূমিকা রয়েছে। বানর দেখার উৎসাহ প্রতিটি মানুষের মনে জেগে উঠে। বিশেষ করে শিশু-কিশোর, কিশোরী বানর দেখলেই সরগোল করে থাকেন, বানর দেখলে মাঝে মধ্যে ভয়ও পায়। সমাজের কিছু সংখ্যক মানুষ অনেকেই বানর পোষতে ভালোবাসে, বানর দিয়ে খেলা দেখিয়ে জীবিকা উপার্জন করে থাকে।
ক্ষুধার্ত বানর সুযোগ পেলেই মানুষের ঘরে ঢুকে মেহমান সেজে ভাত খেতে বসেন। ভাত খেতে না পারলে চাউল, ডাল, আটা, বিস্কুট, সেমাই ও চিনি সহ- নানা প্রকার খাদ্যদ্রব্য নিয়ে চলে যায় তাদের গন্তব্য স্থানে। প্রতিদিন জনমুখে শুনা যায় এমন ২-৪টি ঘটনার কথা।
শুধু কি তাই, বাড়ির আঙ্গিনায় ফলানো ফঁসল, লাউ, কুমরা, পেপে, কলা, ঝিঙা, রেহা দুন্দল, শশা, আম, জাম জামরুল কাঁঠাল, লিচু নারিকেল সহ-সকল কিছুই খেয়ে শেষ করে দেয় ক্ষুধার্ত বানর। এ ব্যাপারে জনমনে জেগে উঠেছে নানা প্রশ্ন, ক্ষুধার্ত বানরের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোনো ধরণের খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো, হয়তো বা সাধারণ মানুষ বানরের উৎপাত থেকে পরিত্রাণ পেত।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান বলেন, শরীয়তপুরে বানর আছে এ বিষয়টি আমাকে কেউ অবগত করেনি, আপনার কাছ থেকে প্রথম শুনলাম, বন বিভাগের সাথে আলাপ করে দেখবো বানরের জন্য কোনো খাবারের ব্যবস্থা করা যায় কি না।
Facebook Comments